রিক্সা ভাড়া দেবার জন্য ব্যাগটা হাতে নিতেই রিক্সাচালক অবাক অসহায় মাখানো দৃষ্টিতে বললেন -আম্মা আপনাকে কিছু কথা বলতে চাইছিলাম?
- জি বলেন?
- আপনি কি এই বাসায় থাকেন?
- হুম..
- আম্মা, আপনার মতো আমার একটা মেয়ে ছিলো..
- তাই নাকি, কোথায় আপনার মেয়ে?
- গতবছর মেয়েটা আমার মারা গেছে আম্মা।
- ওহোহহ...কিভাবে??
- মেয়েটার বাচ্চা পেটে ছিলো..... যৌতুকের টাকা জন্য জামাই মেয়ের পেটে লাথি মারছিলো, অনেক রক্তপাত হয়ে আমার ফাতেমা মারা যায় আম্মা....
- হুমম, আপনি মন খারাপ করবেন না, আমি আপনার মেয়ের জন্য দোয়া করি...আল্লাহ্ ওকে অনেক ভালো রাখবেন।
- আম্মা আমার ফাতেমা পিঠা খুব পছন্দ করতো, আমি যদি আপনার জন্য কিছু দিয়ে যাই, আপনি খাইবেন আম্মা??
- কেন খাবো না...আপনি ভিতরে চলেন, আমি দারোয়ানকে বলে দিচ্ছি....আপনাকে ও চিনে রাখবে আর আমি যদি বাসায় না থাকি আপনি এইখানে রেখে গেলে আমি পেয়ে যাবো।
ভাড়াটা কোনভাবে না নিয়েই ফাতেমার বাবা চলে গেলেন আবার আসবেন বলে।
বাসায় ঢুকে রুমে এসে দরজাটা বন্ধ করে দেয় ফারজিন, বুকের ভেতরের রক্তপাতটা শুরু হলো আবার, দলাপাকানো ভারী কিছু এসে গলাটা সজোরে চেপে ধরেছে, চিৎকার করে বলে উঠলো আমার বাচ্চাটা..রুমের চারদেয়ালে মাঝে ভেসে ভেসে এই গোংগানী শুধু ফারজিনের কাছে ফিরে আসে...... কেও শুনতে পারেনা এই হাহাকার।
আয়নার সামনে এসে দাঁড়ায় ফারজিন, চোখ মুছে তাকায় নিজের প্রতিবিম্বে..সময়ের এফোঁড়ওফোঁড়ে একই ঘটনা ঘটে যায়, অবস্থাভেদে কিছু ফাতেমারা চলে যায় আর কিছু ফারজিনকে বাঁচতে হয়, হাসির আড়ালে বুকের আর্তনাদধ্বনিকে কবর চাপা দিয়ে, সামনে এগিয়ে যাবার পদচিহ্ন রেখে যায় আরো অনেক ফাতেমা / ফারজিনদের জন্য।
ফোনটা হাতে নিয়ে 'দোস্ত এই যে পাঁচমিনিট, আসতেছি খাইতে'.......শীতের দুপুরের হিম বাতাশে ঢাকা পড়ে ভয়ংকর কষ্টে বয়ে যাওয়া আর একটি দিন.......এইযে মামা যাবেন,ফারজিনের রিক্সা সামনে এগিয়ে.....
#লাবনী
- জি বলেন?
- আপনি কি এই বাসায় থাকেন?
- হুম..
- আম্মা, আপনার মতো আমার একটা মেয়ে ছিলো..
- তাই নাকি, কোথায় আপনার মেয়ে?
- গতবছর মেয়েটা আমার মারা গেছে আম্মা।
- ওহোহহ...কিভাবে??
- মেয়েটার বাচ্চা পেটে ছিলো..... যৌতুকের টাকা জন্য জামাই মেয়ের পেটে লাথি মারছিলো, অনেক রক্তপাত হয়ে আমার ফাতেমা মারা যায় আম্মা....
- হুমম, আপনি মন খারাপ করবেন না, আমি আপনার মেয়ের জন্য দোয়া করি...আল্লাহ্ ওকে অনেক ভালো রাখবেন।
- আম্মা আমার ফাতেমা পিঠা খুব পছন্দ করতো, আমি যদি আপনার জন্য কিছু দিয়ে যাই, আপনি খাইবেন আম্মা??
- কেন খাবো না...আপনি ভিতরে চলেন, আমি দারোয়ানকে বলে দিচ্ছি....আপনাকে ও চিনে রাখবে আর আমি যদি বাসায় না থাকি আপনি এইখানে রেখে গেলে আমি পেয়ে যাবো।
ভাড়াটা কোনভাবে না নিয়েই ফাতেমার বাবা চলে গেলেন আবার আসবেন বলে।
বাসায় ঢুকে রুমে এসে দরজাটা বন্ধ করে দেয় ফারজিন, বুকের ভেতরের রক্তপাতটা শুরু হলো আবার, দলাপাকানো ভারী কিছু এসে গলাটা সজোরে চেপে ধরেছে, চিৎকার করে বলে উঠলো আমার বাচ্চাটা..রুমের চারদেয়ালে মাঝে ভেসে ভেসে এই গোংগানী শুধু ফারজিনের কাছে ফিরে আসে...... কেও শুনতে পারেনা এই হাহাকার।
আয়নার সামনে এসে দাঁড়ায় ফারজিন, চোখ মুছে তাকায় নিজের প্রতিবিম্বে..সময়ের এফোঁড়ওফোঁড়ে একই ঘটনা ঘটে যায়, অবস্থাভেদে কিছু ফাতেমারা চলে যায় আর কিছু ফারজিনকে বাঁচতে হয়, হাসির আড়ালে বুকের আর্তনাদধ্বনিকে কবর চাপা দিয়ে, সামনে এগিয়ে যাবার পদচিহ্ন রেখে যায় আরো অনেক ফাতেমা / ফারজিনদের জন্য।
ফোনটা হাতে নিয়ে 'দোস্ত এই যে পাঁচমিনিট, আসতেছি খাইতে'.......শীতের দুপুরের হিম বাতাশে ঢাকা পড়ে ভয়ংকর কষ্টে বয়ে যাওয়া আর একটি দিন.......এইযে মামা যাবেন,ফারজিনের রিক্সা সামনে এগিয়ে.....
#লাবনী
জীবনগল্প !! আম্মা, আপনার মতো আমার একটা মেয়ে ছিলো..
Reviewed by poland Trending now Trends
on
9:44 PM
Rating:

No comments:
Post a Comment